Jagga Jasoos আর বাবাদের পুনর্জন্ম
গতকাল রাতে টিভিতে jagga jasoos বলে একটি সিনেমা দিয়েছিল। সিনেমাটা কেমন তা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই, সেরা উপকরণ দিয়ে পোলাও বানালে তা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে। তা, সেটা নয়, আজ বরং কথা বলা যাক তার গল্পটা নিয়ে।
একটি বুদ্ধিমান কিন্তু তোতলা ছেলের তার পালক পিতাকে খোঁজার গল্প। যে বাবা তাকে গানের মাধ্যমে কথা বলতে শিখিয়েছে পৃথিবীর সঙ্গে, শিখিয়েছে পৃথিবীর বেঁচে থাকার উপায়গুলি, দিয়েছে পরিবারের ভালোবাসা- সে হঠাৎ একদিন হারিয়ে যায় । তারপর প্রতি বছর জন্মদিনে সে পেতে থাকে একটা করে ক্যাসেট, যাতে ভিডিও রেকর্ডিং করে বিভিন্ন শিক্ষা দেওয়া থাকে। কোনো একদিন, ক্যাসেট আর আসে না, সবাই বলে বাবা নেই। কিন্তু ছেলেটি খুঁজতে বেরোয় তার বাবাকে। সমস্ত পৃথিবী তোলপাড় করে ফেলে একটাই ভরসায়, যে তার বাবা বেঁচে আছে, তার জন্য, কোথাও, কোনোভাবে। আর পুরো সিনেমাটি সেই খোঁজ নিয়ে। তার মধ্যে উগ্রপন্থী আছে, অস্ত্র-ব্যবসায়ী আছে- আছে ভালোবাসাও। কিন্তু মূল যা আছে, তা হলো এক বিশ্বাস- যে তার বাবা তার জন্য অপেক্ষা করছে পৃথিবীর কোনোখানে। তো দেখতে দেখতে হঠাৎ অনেকগুলো ভাঁট কথা ভাবতে বসলাম।
পুনর্জন্মের কথা হয়তো আমরা প্রত্যেকেই পড়েছি, কিন্তু আসলে প্রতিদিন, আমরা, বাবারা আমাদের সন্তানের মধ্যে নিজেদেরকে অল্প অল্প করে ভরতে থাকি, যাতে চলে যাবার পরও বেঁচে থাকতে পারি তাদের মধ্যে। সেটাই হয়তো আমাদের পুনর্জন্ম। মুখে তো বলতে পারি না, পুরুষমানুষের কিছুই prejudice থাকে, অস্বীকার করে লাভ নেই, কিন্তু এটাই সত্যি।
কোনোদিন যদি আমরা হঠাৎ কোথাও হারিয়ে যাই, আমাদের বাঁদর বাচ্চাগুলো আমাদের খোঁজাটা যেন না থামিয়ে দেয়, এই ভরসাটুকুর জন্যেই আমরা পুরুষরা বেঁচে থাকি, আমাদের পরের প্রজন্মের মধ্যে দিয়ে।