এখন zindagi na milegi dobara দিচ্ছে। একটা খুব অদ্ভুত সিনেমা- অদ্ভুততর প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় আমাদের সামনে- উত্তরও তো জানা , যেগুলো খুব অদ্ভুতভাবে আমরা এড়িয়ে যেতে চাই। তিন বন্ধু- তিনরকম জীবন, তিনরকম চাহিদা।
প্রথমজন অভয় দেওল succesful, কিন্তু পার্সোনাল জীবনে অসুখী- কারোকে না বলতে পারেনা, ভালো ইমেজ তাকে ধরে রাখতেই হবে। দ্বিতীয়, ফারহান আখতার, সাধারণ মধ্যবিত্ত চাকরিজীবি, নিজের অদেখা বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য , কথা বলার জন্য ভেতর থেকে মরে যাচ্ছে। হাসিখুশি দেখায় যাতে কেউ আসল মুখটা দেখতে না পারে। হৃত্বিক রোশান, নিজের চেষ্টায় succesful ব্যবসায়ী, কিন্তু নিজেকে বাজি লাগিয়ে দিয়েছে সেই দৌড়ে। হয়তো জিতছে, অবশ্যই হারছে। তিনজন কিছুদিনের জন্য ব্যাচেলর ট্রিপে যায়, হয়তো ঠাট্টা তামাশা, হয়তো নিজেদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। ক্যাটরিনা আসে এক দমকা হাওয়ার মতন, হৃত্বিকের মুখোশকে উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, প্রচুর অস্সস্তিকর প্রশ্ন তুলে দিয়ে যায় তিনবন্ধুর মনে। নাকি প্রশ্নগুলো আগেই ছিল, ঢাকা দেওয়া, শুধু ঢাকনাটা খুলে দেয় ক্যাটরিনা হৃতিকের এক চুমু।
আজকাল আসলে সেইসব মহিলার সংখ্যা কমে যাচ্ছে, যারা শুধু চুমু খেয়ে আরেকটা চুমুর ইচ্ছে জাগাতে পারে, চোখ দিয়ে আদর করতে পারে। প্রত্যেক পুরুষই আসলে predator , প্রকৃতি তাদের এভাবেই গড়েছে। আর তার অনন্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে কোন নারী, আর তার জন্যেই অপেক্ষা করে পুরুষ, হয়তো সারাজীবন।
অসাধারণ, অসাধারণ। এই সিনেমাটিতে প্রত্যেক পুরুষ এদের কোনো না কোনো একজনের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পায়, অন্তত খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যায় । চরৈবেতি … খোঁজ চলতে থাকুক, নাহলে বেঁচে কি হবে ? জীবন তো একটাই – zindagi na milegi dobara …..